বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর ক্ষেত্রে তার স্ট্যাটাস বিবেচ্য বিষয় নয় বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখনও সেদেশেই আছেন তিনি। তবে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি কোন মর্যাদায় ভারতে আছেন তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার সঙ্গে তার স্ট্যাটাসের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা (স্ট্যাটাস) আমাদের কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন আমরা অপেক্ষা করবো। এ বিষয়ে আসলে কোনো ধরা-বাধা নিয়ম নেই। আমরা অপেক্ষা করছি।
বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের পাসপোর্ট বাতিল হলে আমাদের মিশনের মাধ্যমে সে দেশের সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আর কারও পাসপোর্ট বাতিল হলে তার ভিসার প্রয়োজন হয় না।
এদিকে ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করেছে ভারত। বাংলাদেশও ভারতের নাগরিকদের জন্য ভিসা সীমিত করবে কি না জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। নিশ্চয় মন্ত্রণালয় বিবেচনায় রেখেছে।
সবশেষ বুধবার একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি।
তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে এবং কতদিনের জন্য তা বাড়ানো হয়েছে, সেসব তথ্য মেলেনি এসব প্রতিবেদনে।