রাজধানী ঢাকায় কওমী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে একজন নারী সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহের কাজে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ধর্ম উপদেষ্টার কর্মসূচির মিডিয়া কভারেজে নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা’- এরূপ একটি ফেসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা গেছে। একজন নারী সাংবাদিক তার ফেসবুক ওয়ালে এই পোস্টটি করেছেন। পরবর্তীতে অনেকেই বিভিন্নভাবে তাদের ফেসবুক ওয়ালে এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন।
গত ২৯ জানুয়ারি চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ‘কওমি উদ্যোক্তা’ নামের একটি সংগঠন। এ অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। তিনি এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন এবং সেখানে বক্তব্যও দেন। তবে সেখানে অবস্থানকালে এ অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকদেরকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানতেন না এবং কোনো সাংবাদিকও তাকে কোনো অভিযোগ করেননি। সেখানে থাকা অবস্থায় এরূপ ঘটনার বিষয়ে জানলে তিনি অবশ্যই নারী সাংবাদিককে সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন।
কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলনে এরূপ কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে এরূপ ঘটনার জন্য অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিকে দায়ী করাটা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য নয়। এরূপ পোস্ট নিছক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ধর্ম উপদেষ্টার কিংবা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যেকোনো কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা সাদরে আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর থেকে ধর্ম উপদেষ্টা নারী সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে আসছেন। কিছুসংখ্যক নারী সাংবাদিক এরইমধ্যে তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। তিনি কিংবা তার দফতর থেকে কখনোই কোনো নারী সাংবাদিকের ওপর কোনোরূপ বিধিনিষেধে আরোপ করা হয়নি।
আগামীতেও ধর্ম উপদেষ্টা ও তার মন্ত্রণালয় নারী সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।