বিজিবি-বিএসএফের চারদিনের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ জোর দেবে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে বৈঠকটি হবে। যেখানে সীমান্তে শান্তি ফেরানো, অভিন্ন নদীতে বাঁধ দেয়াসহ কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেবে ঢাকা। আর ভারত জোর দিচ্ছে সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ইস্যুর বিষয়ে। এই বৈঠকে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঘটনাস্থল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত। শুক্রবার দুপুরে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের কয়েকজন সদস্য। সেখানে চার বাংলাদেশিকে হামলা করে তারা। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে, তারা চলে যায়।
একই অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে। ৫ আগস্টের পর সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি। আর তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘ হলেও হত্যাকাণ্ডে শীর্ষে থাকে সব সময়। যেখানে হত্যার শিকার প্রায় সবাই বাংলাদেশি। অতীতে এনিয়ে কেউ কথা না বললেও অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের দিল্লিতে সোমবার থেকে চারদিনের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন বসছে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে। যেখানে চলমান অস্থিরতা নিরসনে আলোচনা হবে।
পাশাপাশি সীমান্তে আন্তঃদেশীয় নদীগুলোর বাধ নির্মাণ, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের ফেনী অঞ্চলে আসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাব দেবে।
আর সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ইস্যু, সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন সময় উত্তেজনা রোধে করণীয়, সীমান্ত অবকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ভারত জোর দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।