স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন এবং ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন আইন বাতিল করাসহ ১৪ ক্ষেত্রে মোট ২১০টি সুপারিশ করেছে এই সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে আইন পরিবর্তন করে আগামী জুনের মধ্যেই সমতল ও পাহাড়ের সব স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করার কথা বলছে এই কমিশন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথম ধাপে গঠন করা ছুটি কমিশন এরিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের বাকি পাঁচটির কমিশনের মধ্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন এরিমধ্যে একটি প্রাথমিক সুপারিশ জমা দিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ব্রিটিশ আমলে সময় তৈরি এই প্রশাসন আদৌ কোন সরকার কিনা এমন প্রশ্ন রাখেন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। তাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জনপ্রকৌশল করার সুপারিশ করেছেন তিনি। সেই সাথে দিয়েছেন বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব।
বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের নামের সঙ্গে ‘পল্লী উন্নয়ন’ থাকলেও এর কাজ নেই বলে উল্লেখ করেন কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কিছু সংস্কার দরকার হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, সব কো–অপারেটিভস ও এনজিওগুলো একসঙ্গে থাকলে কাজ করতে পারবে।
এক শিডিউলে (তফসিল) স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চান বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, তাহলে স্থানীয় সরকারে পাঁচটা–সাতটা নির্বাচন করতে হবে না। এতে সরকারের নির্বাচনের ব্যয় অনেক কমবে। প্রার্থীর খরচও কমবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বড় ধরনের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে তোয়ায়েল আহমেদ বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ যথেষ্ট শক্তিশালী। এটিকে কার্যকর করতে বিদ্যমান আইন সামান্য পরিবর্তন করে নতুন ভোটার তালিকা দিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচনের সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ গ্রাম পর্যন্ত সালিশ ব্যবস্থা যুক্ত করার কথাও ভাবছে কমিশন। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ফৌজদারি এবং দেওয়ানী আদালতের সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশও থাকছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। চলতি মাসের মাঝামাঝি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন খসড়া প্রতিবেদন জমা দেবে।