নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিকে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, দল নিবন্ধনের জন্য বেশ কিছু নতুন শর্তের প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন। কিন্তু ইসির গণবিজ্ঞপ্তিটি জারি হয়েছে বিদ্যমান আইনে। এখানেই জটিলতার শঙ্কা সংস্কার কমিশনের।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিবন্ধন পেতে আবেদনকারী দলকে ১০টি তথ্য জমা দিতে হবে।
১০০টি উপজেলার প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ জন ভোটারের সমর্থন এবং অতীতের যে কোন নির্বাচনে বিজয়ী একজন সংসদ সদস্য দলে থাকতে হবে।
নতুন দল নিবন্ধনের জন্য কিছু সুপারিশ প্রস্তাব করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। যেখানে দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের লক্ষ্যে ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ উপজেলা ও ন্যূনতম ৫ হাজার সদস্য থাকার প্রস্তাব রয়েছে।
সেই সাথে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত দলের সকল কমিটিতে নির্বাচিত সদস্য রাখা, দলীয় লেজুড় বৃত্তিক ছাত্র শিক্ষক বা পেশাজীবী সংগঠন না রাখারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বিদ্যমান আইনের আলোকে। যাকে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম।
তবে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলছেন, প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তিটিতে নতুন নিয়ম যুক্ত করা হবে।
এদিকে, নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।