গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে গণহত্যায় জড়িত অনেক আসামি পালিয়ে যাচ্ছেন এমন কথা জানিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ তথ্য ফাঁসের সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রসিকিউশন সংস্থার কেউ জড়িত থাকতে পারেন। আমরা প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরপরই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছেন। কোন জায়গা থেকে ফাঁস হচ্ছে, চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না?
জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এখানে কোনো না কোনো জায়গা থেকে এটা ফাঁস হচ্ছে। এটা আমরা খুব উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে সম্ভবত এই ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো একটা মহল এর সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের মধ্যে, অফিসেও থাকতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা বিষয়টাকে গভীরভাবে উদ্বেগের সঙ্গে বিশ্লেষণ করছি এবং তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যদি আমরা প্রমাণ পাই যে প্রসিকিউশন অফিসের কেউ, প্রসিকিউশন টিমের সদস্য কেউ, অথবা ট্রাইব্যুনালের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী; যারাই হোক, যারা এ ধরনের তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি এবং উদ্বেগের সঙ্গেই এটা নিয়েছি। এটাকে নিশ্ছিদ্র করার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্তকাজ চালাচ্ছি। আমরা এটার জন্য দায়ী যাকে পাব, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।