ভ্যাপসা গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি। জনজীবনে এসেছে যেমন প্রশান্তি, তেমনি ভিজেছে ঢাকার শুকনো রাজপথ। রাজধানীবাসী বলছে, এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকলে স্বস্তি আসবে পুরো শহরজুড়ে। আর, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি চলবে চার থেকে পাঁচদিন। পূরণ হবে এপ্রিলের বৃষ্টির অভাব। কমতে পারে তাপপ্রবাহ।
সোমবার দুপুরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের বুক চিড়ে হঠাৎই বৃষ্টির ফোটা তপ্ত নগরীর বুকে। শীতল বাতাস আর বৃষ্টির ঝাপটায়, রাজধানীবাসী নিমিষেই ভুলে গেলো টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের ক্লান্তি। সবার জন্য তাই এই বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে এলো। স্বস্তির এই বৃষ্টিতে তাই দুরন্তপনায় মাতলো কিশোর দলও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার তাপপ্রবাহের পরিমাণ কমে যাবে। বৃষ্টির প্রভাব থাকতে পারে আগামী বুধবার পর্যন্ত। আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে আছে। আর এ জন্যই বৃষ্টির এই আবহ। মঙ্গল ও বুধবারও বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে দেশজুড়ে একযোগে বৃষ্টি হবে না হয়তো।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের নানা স্থানে এবং রংপুরের বিভিন্ন স্থান, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে।
আসলে রোববার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবারও দেশের গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এটি সোমবার নাও থাকতে পারে বলে সকালে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় রংপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৪১ মিলিমিটার। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।