চট্টগ্রাম আদালতে ১৬ বছর আগে ২০০৫ সালে জেএমবি’র বোমা হামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অপর জীবিত আসামি জেএমবির চট্টগ্রাম শাখার বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবালকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ট্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ গণমাধ্যমকে জানান, দণ্ডিত দুই আসামির মধ্যে জাবেদ ইকবাল রায়ের সময় আদালতে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান ভারতের কারাগারে বন্দি। সেখানে এক মামলায় তার ২৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালায় জেএমবি সদস্যরা।
ওই ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া এবং শাহাবুদ্দিন নামে এক বিচারপ্রার্থীর প্রাণ যায়। আহত হন কনস্টেবল আবদুল মজিদ, রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, শামসুল কবির ও আবু রায়হানসহ ১০ জন।
এ ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানির অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে, এ মামলা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়। ফলে মামলায় আসামি ছিলেন শুধু দুইজন।
২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৭৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
আরও পড়ুন: টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
তারপর ২০১৮ সালের অগাস্টে ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার হন মিজান। বর্ধমান বিস্ফোরণের মামলায় চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে ২৯ বছরের সাজা দেয় ভারতের একটি আদালত।
এছাড়া দেশেও বিভিন্ন মামলায় মিজানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় হয়েছে এর আগে।
একাত্তর/আরএ