ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউসিসিএ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার ১৯ আসামির মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ৬ অক্টোবর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিরা হলেন- মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন ও শরীফুল ইসলাম নাঈম।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিরা হলেন- মাসুদ পারভেজ কার্জন, ছাত্রদলকর্মী শরীয়তউল্লাহ ওরফে সুমন ও যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া।
যারা খালাস পেয়েছেন তারা হলেন- গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রদলকর্মী রিফাত, মো. আবু হানিফা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান, কামাল মিয়া ও শাজাহান মিয়া
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহতের ছোটভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদি হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তরুণ ও কিশোরদের ভাগিয়ে নেয়া সেই হাবিবুল্লাহ গ্রেপ্তার
২০২১ সালের ২৭ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ) মো. শাহ কামাল আকন্দ। পরে ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রতিবেদনে চার্জশিটভুক্ত ১৪ জন ছাড়াও মামলার তদন্তকারী অফিসার অনুসন্ধানে আরও পাঁচ জনের সম্পৃক্ত পাওয়ায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে এ প্রতিবেদন দেন।
মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশ পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন ও শাহ কামাল আকন্দ।
একাত্তর/এসি