বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
তারা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার ও কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মানবিক কারণে সরকার এবার তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেবেন বলে আশা তাদের।
রোববার রাতে ষষ্ঠবারের মতো এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা বলছেন তাঁর লিভারের সমস্যা আরও গুরুতর হয়েছে।
তিনি ক্রনিক লিভার ডিজিসে আক্রান্ত। কিডনির জটিলতাও বেড়েছে। ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আগের চেয়ে গুরুতর বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁকে কেবিনে রাখা হয়েছে।
তবে তিনি সিসিইউর ডাক্তার ও নার্সদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তাঁর আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে তাঁর চিকিৎসা। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে মেডিক্যাল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এবার সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেবেন বলে আশা তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি পরীক্ষা শেষে গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সাল থেকে আড়াই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। মাঝে এক বছর কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্ববাধায়ানে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০২০ সাল থেকে শর্ত সাপেক্ষে কারামুক্ত হন বিএনপি নেত্রী। তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ কয়েকবার আবেদন করা হলেও, সরকার তা বাতিল করে দেয়।
একাত্তর/এআর