প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে দেশের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ও নানা ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
একাত্তরের-এর পাঠকদের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্ট করা ভিডিওটির স্ক্রিপ্ট প্রকাশ করা হলো-
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি একটি সাজানো নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলো তৎকালিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। সেসময় কোনো পরীক্ষা নেওয়া ছাড়াই ছাত্রদলের ৩০০ নেতাকর্মীকে জরুরিভাবে উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে পিএসসিকে ব্যবহার করে এতো দ্রুত কোনো নিয়োগ হয়নি। এর মধ্য দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছিলেন খালেদা জিয়ার সরকার।
হাওয়া ভবন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের পুত্র তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে, ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তবে ১/১১ এর পটভূমি পরিবর্তনের পর, ১৩ জানুয়ারি ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। ২০০৭ সালের ১৮ জানুয়ারির প্রথম আলো পত্রিকায় এই বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ হয়।
জানা যায়, নিজেদের মতো করে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নিয়োগ দিয়েই এই ৩০০ জন ছাত্রদল নেতাকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে বসানো হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদলের ৬০ জন নেতাকর্মী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১০ জন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও বগুড়ার ১৫ জন ছাত্রদল নেতাকেও এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক ছাত্রদল নেতা মমিন সরকার, আবদুল গাফফার, মনিরুজ্জামান এবং দপ্তর সম্পাদক সাইয়িদ আহমেদ সাইক্লোন, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাকিব, সহ-সভাপতি সাজিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল করিম ও সদস্য আবদুর রহিম, জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল হান্নান ও হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জাসাস সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সেকান্দার আলী, জিয়া হল শাখার যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আকন্দ, জহুরুল হক হলের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন ভুইয়া, সুর্যসেন হলের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে- মেজবাহ উদ্দীন, মনির হোসেন, কাজী মোহাম্মদ নুরে আলম, মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী টিপু, নজীর আহমদ সীমাব, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, রশিদ মিয়া সাগর, মনিরুজ্জামান, আবদুল গাফফার, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
একাত্তর/জো/এআর