আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদার জিয়ার কথায় দেশ চলবে, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের এমন বক্তব্য নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে।
তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চালানোর নির্দেশ দেয়ার মতো অবস্থায় বিএনপি নেই। তাদের মতো এই বক্তব্য আমান উল্লাহ আমানের, বিএনপির নয়।
শনিবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আর কারো কথায় দেশ চলবে না।
সাবেক এই ডাকসু নেতার এমন বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে আলোচনার জন্ম দেয়। বলাবলি হতে থাকে, কি হতে যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর?
এই প্রশ্ন যখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’ তখন সেই উত্তেজনায় পানি পড়লো বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালামের বক্তব্যে।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলার কোনো আশা দেখছেন না আমান উল্লাহ আমান ছাড়া কেউই।
কোন কোন বিএনপি নেতা গেলো সপ্তাহে একই ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালকে নিয়ে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুলতানা কামাল কোন যাচাই বাছাই না করে গুমের তালিকা করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
লেখক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, দলের কেন্দ্রীয় নেতারাই জল ঘোলা করতে চাইছেন বলে আমান ও রিজভীর সাথে অন্যদের বক্তব্যের এই গড়মিল।
আরও পড়ুন: ভোটে হেরে যাবার ভয় মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
তিনি মনে করেন, মানবাধিকার কর্মীরা এমন কোনো বক্তব্য রাখবেন কিনা, যাতে দেশের অমঙ্গল হতে পারে সেই বিবেচনাও করতে হচ্ছে কাউকে কাউকে।
তবে, দিনশেষে মানবাধিকার কর্মীদের কাজের জগতে একটি বড় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য চাপ তৈরি করবে বলে মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
একাত্তর/এসি