যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে গোটা জাতি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দায় সরকারের।
বিএনপি নেতা প্রয়াত আসম হান্নান শাহ্ এর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন নতুন করে ভিসা নীতি দেয়া হয়েছে। আজ যে সংকট ও বিপদ, শুধু বিএনপির নয়, এটা গোটা জাতির। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভোটের অধিকার থাকবে কিনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আগামী কয়েকটি দিনের মধ্যে।’
কেন আজ জাতি এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে, এ প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা খুশির কথা নয়, এটা অত্যন্ত লজ্জার। এর দায় সরকারের। ক্ষমতা ধরে রাখতে কর্তৃত্ববাদী আচরণ সরকারের।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নয়, গোটা জাতি আজ সরকারের কারণে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে ‘বিএনপি আরও সংগঠিত, উজ্জীবিত হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নামাতে পারলেই সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার ভয়াবহভাবে বাংলাদেশের আত্মাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজ কথা বলার অধিকারটুকু নেই, নিরাপত্তা নেই। আজ চলাফেরা, কথাবার্তা সবক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
‘সরকার বারবার উন্নয়নের কথা বলে আসছে। অথচ সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন বাংলাদেশকে আজ আরও ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে।’
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, ‘কত দ্রুত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় সেজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সেল উঠে পড়ে লেগেছে, ভয়াবহ অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে বাংলাদেশকে বিদেশি শক্তির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এটা দেশের জন্য উদ্বেগ।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশের চিকিৎসা করানোর আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে সরকারের এমন বক্তব্যে ঘোড়াও হাসে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে। কিন্তু সফল হবে না।’
‘মানুষ সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, এর অন্য কিছু মানুষ মেনে নেবে না,’ যোগ করেন তিনি।