পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনের ডিবির পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আমীর খসরু এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি। তাদের নির্দেশনা এবং উসকানিতে এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের পরিকল্পনায় বাসে আগুন এবং পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি তারা প্রধান বিচারপতির ভবনেও হামলা করেছেন। আরও তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে আমীর খসরুর আইনজীবী বলেন, একটি মহলের ষড়যন্ত্রে বিএনপি নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে। খসরু পুলিশ মারার ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাকে আটক করে রিমান্ড দিয়ে অবিচার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এছাড়া গুলশানের একটি বাসা থেকে জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুক মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
একাত্তর/এসি