ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর থেকেই লাপাত্তা আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাসিনার প্রধান সহযোগী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সামনে আসলেও, কোনটি সম্পর্কেই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি কি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, নাকি দেশে আছেন, তা নিয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। তবে তিনি আত্মগোপনে আছেন সেটি নিশ্চিত।
চট্টগ্রামের হালিশহর থানার শান্তিবাগ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ওবায়দুল কাদের আছেন, এমন সন্দেহে শনিবার রাতে সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে ওই ফ্ল্যাটে কাদেরকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদাকে পাওয়া যায়। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৬ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, শনিবার মধ্যরাতে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বড় ভাইকে শান্তিবাগ এলাকা থেকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছে কোনো তথ্য না থাকায় বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে নুরুল হুদাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল হুদার কাছে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হুদা জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তার সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরর কোনো যোগাযোগ নেই।
পুলিশের কাছে শনিবার মধ্যরাতে খবর আসে, ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শান্তিবাগ এলাকার বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখান থেকে ওবায়দুল কাদের স্ত্রীর বড় ভাইকে পাওয়া যায়।