চার দেয়ালের মাঝ থেকে বেরিয়ে সরাসরি বিএনপির নেতৃত্বে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির মত বড় দলের অভিযাত্রায় জেল, জুলুম, চিকিৎসাহীনতা সহ্য করে তিনি আপোষহীন নেত্রীর তকমা পেয়েছেন। আমরা জানবো বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন হয়ে ওঠার সেই পথ পরিক্রমা।
১৯৮১ সালের ৩০ মে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হন এক সামরিক অভ্যুত্থানে। তার মৃত্যুতে দলটি নেতৃত্বশূন্য হয়। সেসময় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা। ঠিক এসময়ই বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব নেন। ১৯৮১ সাল থেকে একদিকে দল গোছানো অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দেন।
সেসময়ের সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যুগপথ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চার যে পথ সৃষ্টি করেছিলেন জিয়াউর রহমান বেগম খালেদা জিয়া সেই পথ ধরেই এগিয়ে নেন বিএনপিকে। তার নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ১৯৯০ সালে পতন হয় স্বৈর শাসক এরশাদের।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয়ী হয় এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
রাজনীতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেননি। কোনো ভয় বা লোভের কাছে মাথা নিচু করেননি।
শত অত্যাচারেও তিনি মাতৃভূমি ছেড়ে যাননি। গণতন্ত্র ও ইসালামী মূল্যবোধের প্রশ্নেও বারবার তিনি নিজেকে দৃঢ় প্রমাণ করেছেন।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি পেয়েছেন আপোষহীন তকমা। সাত বছর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশ যাচ্ছেন। দেশে ফিরবেন সুস্থ হয়ে। আবার নেতৃত্ব দেবেন দেশের উন্নয়নে প্রত্যাশা নেতাকর্মী ও দেশের মানুষের।