ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুর ইসলাম রাকিব অভিযোগ করেছেন, ছাত্র রাজনীতি থাকবেনা বলে প্রচার করছে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। তার প্রশ্ন, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা রাজনীতি করতে পারলে, ছাত্রদল কেন পারবে না? তার দাবি প্রকাশ্য গণতান্ত্রিক অধিকার বন্ধ ও মব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উপায়কে নানাভাবে কুলষিত করার চেষ্টা চলছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) গেমস রুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের ওপর হামলার জন্য শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়ি করে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধায়নে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ভিডিও ফুটেজের তথ্য তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক ওমর ও চিহ্নিত শিবিরের নেতারা এই হামলায় জড়িত। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কিছু শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের তিন জনকে আহত করেছে।
আগামীতে কোনো ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামরা হলে এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহ কোন দলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন সেই প্রশ্ন তোলা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
বলা হয়, হাসনাত আবদুল্লাহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন ওয়াজ নসিহত করেন। কিন্তু আমরা প্রশ্ন করতে চাই, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে মিটিং হয়েছে, সেখানে কোন প্রটোকলে তিনি এবং নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী গিয়েছেন?
জুলাই অভ্যুত্থানে ১৫০ বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ১৮ তারিখের ঘটনা অনভিপ্রেত। পাল্টাপাল্টি ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকেই। এসব ঘটনার উসকানিদাতা এবং জড়তিদের বিচারের দাবি জানাচ্ছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েট ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় হামলায় বেশ কজন আহত হয়। বুধবার থমথমে কুয়েটে ২৮ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেট সভা থেকে। সিদ্ধান্ত আসে, কুয়েটে বন্ধই থাকছে রাজনীতি। সিদ্ধান্ত আর আরও চারটি।