জুলাই অভ্যুত্থানের উপর গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল এনসিপি কী করবে আগামী দিনে, তা নিয়ে জনমনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দলটির দুই নেতা একাত্তরকে জানিয়েছেন ইসিতে নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজ রোজার মাসে করা হবে।
নিবন্ধনের জন্য ঈদের পর ইসিতে আবেদন করা হবে বলেও জানা গেছে। নতুন দলের নেতারা বলছেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে সংস্কারের পর ভোট ও গণপরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করবে এনসিপি।
২৮ ফেব্রুয়ারি। আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণ তুর্কিরা আছেন এই দলের নেতৃত্বে। রাজধানীতে বর্ণাঢ্য আত্মপ্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে বেশ কিছু দিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কী করছে নতুন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দলীয় কার্যালয়ের জন্য এলাকা বাছাই, লোগো তৈরি, গঠনতন্ত্র তৈরি, কমিটি বৃদ্ধিসহ নানা সাংগঠনিক কাজ সম্পন্ন করছে এনসিপির নেতারা। এনসিপির নেতারা বলছেন রোজার মাসে তারা ইসির নিবন্ধন পাওয়া সংক্রান্ত কাজ করবেন। ২৬ মার্চ ঘিরে থাকছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, ঈদের পরে বাড়ানো হবে আহবায়ক কমিটির সংখ্যা।
বৈষম্যবিরোধী ও নাগরিক কমিটির আগ্রহী নেতারা মাইগ্রেশন করে এনসিপিতে আসতে পারবেন বলেও জানানো হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। ঈদের পরে দুটি ইস্যুতে কর্মসূচি থাকবে এনসিপির। সংস্কারের পর ভোট ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে থাকবেনা তারা।
এনসিপির এই দুই নেতা আরও বলেন, সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে। সেই সংবিধান পুনর্লিখনে গণপরিষদ থেকে সংসদ প্রয়োজন বলে মনে করে এনসিপি। সেই নির্বাচিত গণপরিষদ সংবিধানের সংস্কারের পাশাপাশি করবে রাষ্ট্র পরিচালনা কাজ।
সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে কোন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিরোধের বিষয়টি দল গুরুত্ব দিয়েও দেখা হচ্ছে বলে জানান নেতারা।