সংস্কারের নামে চাপিয়ে দেয়া কোন সিদ্ধান্ত বিএনপি মানবে না বলে সোজা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। একাত্তর টেলিভিশনকে তারা জানান, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি অবশ্যই সংস্কার চায়, তবে তা যেন কোন ভাবেই জনগণের বিপক্ষে না যায়।
তারা অভিযোগ করেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করবে বলে, সামাজিক মাধ্যমে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষে গঠিত ঐক্যমত্য কমিশন কাজ করছে। কমিশনকে কাজের জন্য ছয় মাস সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব এবং মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে কমিশন। নির্ধারণ হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণও।
এরই মধ্যে দেশের বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্য কমিশনে তাদের মতামত জমা দিয়েছে। সংলাপও হয়েছে বেশ কটি দলের সঙ্গে, অপেক্ষায় রয়েছে বড় দলগুলো। যদের সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত হওয়ার কথা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস জানান, আইনি বৈধতাসম্পন্ন একটি টেকসই সংস্কার করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই এবং এই সংস্কার হতে হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে।
তারা বলেন, বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা আবারও পর্যালোচনার আহবান জানিয়েছে বিএনপি। তারা সোজা কথায় জানিয়ে দেন, চাপিয়ে দেয়া কোন কিছুই মেনে নেয়া হবে না।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করবে বিএনপি, এমন কথা বলে একটি মহল দেশে বিভক্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।