মানবিক করিডোর নিয়ে গেলো কয়েক দিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপির অভিযোগ, এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটির কেউ কিছুই জানেনা। মানবিক করিডোর নিয়ে সবাই অন্ধকারে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ-সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, মানবিক করিডোরের নামে দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানবিক করিডোরের অর্থটা কী? এটা কার সাথে আলাপ হয়েছে? একটি অনির্বাচিত সরকার তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা নিজেরা কথা বলে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের কোনো রাজনীতিবিদ এ ব্যাপারে জানেনা, কোনো সিভিল সোসাইটির কেউ এ ব্যাপারে জানেনা।
এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এটা কার এজেন্ডা? এর পেছনে কে? বাংলাদেশেকে কী আমরা একটি গাজায় পরিণত করতে চাই? বাংলাদেশকে কী আমরা আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দিয়ে যেতে চাচ্ছি? করিডোর কী স্বার্থে, কার স্বার্থে- এই প্রশ্নগুলো চলে আসছে। কার এর পেছনে কাজ করছে, এই লোকগুলো কারা?
তিনি আরও বলেন, যারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে, ১৭ বছর তাদের রাস্তায় দেখা যায়নি। এখন যারা সংস্কারের কথা বলছেন, এদের চেহারা আমরা কেউ দেখিনি। আর এদের অনেকে রাস্তায়ও ছিলো না। এখন যারা বড়ো বড়ো কথা বলছেন, আন্দোলনে এদের চেহারা আমরা দেখি নাই।
একই স্থানে আরেক অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবিক করিডোর নিয়ে সরকার দ্বিমুখী কথা বলছে। এনিয়ে অন্ধকারে আছে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, কী ধরণের করিডোর হবে, এর লক্ষ্য কী? আমরা কী নতুন কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছি? এসব ক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে বসে আলোচনা করা। কিন্তু দেখি যে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এক কথা বলেন, প্রেস সচিব অন্য এক কথা বলেন। কেউ বলেন, চুক্তি হয়েছে, তবে চুক্তির শর্ত প্রকাশ করা যাবে না।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশকে পূর্ব কাশ্মীর বানানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ভারত যেভাবে হাসিনাকে রক্ষা করছে.. এই উপমহাদেশের পশ্চিম দিকে একটা কাশ্মীর আছে, আর পূর্ব দিকে আরেকটি কাশ্মীর সৃষ্টির চেষ্টা করছে ভারত।
বিএনপি নেতারা জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দরকার নির্বাচিত সরকার।