প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে সংসদ নির্বাচন পেছানো বার্তাকে ‘দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডনে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৈঠক শেষে শুক্রবার (১৩ জুন) গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সুন্দরভাবে বৈঠক হয়েছে। নির্বাচন ইস্যুতে তারেক রহমানের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা সম্মত হয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতি একটি সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো। দুই ঘণ্টার বৈঠক সত্যিকার অর্থেই টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। সৌহার্দপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বৈঠকের প্রধান বিষয় ছিলো নির্বাচন ইস্যু। তারেক রহমানের প্রস্তাব ছিলো এপ্রিল উপযুক্ত সময় নয়, এতে সম্মত হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, জাতি উদ্বিগ্ন ছিলো, তবে তারেক রহমান সফল হয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ। বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা। এখন প্রয়োজন হবে অতীতের ছোটখাটো কথাবার্তা ভুলে সামনে জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা। ১৫ বছর পরে গণতন্ত্রে উত্তরণের সুযোগ পাচ্ছে দেশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, চারদিকে অনিশ্চয়তা ছিলো, তবে এই বৈঠক প্রমাণ করে চেষ্টা থাকলেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়াকেও। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটি সবাই মিলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।
সবশেষ জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।