ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ নিয়ে এরইমধ্যে সরব হয়েছে দেশ-বিদেশের ক্রিকেট মহল। আজকের ম্যাচের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ম্যাচে একটি এলবিডব্লিউ’র আবেদন নাকচ করায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়ান তিনি। পরে অবশ্য এ জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন সাকিব। কিন্তু বিষয়টিকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন না বিসিবি কর্মকর্তারা। আজকের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ।
শুক্রবার (১১ জুন) বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা একটা প্রতিবেদন দেবে। এখানে নিয়মনীতি যা থাকার, সবই আছে। নিয়ম ভাঙলে কী হয়, সেটাও সবাই জানে। যে প্রতিবেদনই আসুক, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।
কাজী ইনাম আরও বলেন, ম্যাচের মধ্যে অনেক সময় ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়। তবে আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কাছে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারটি প্রত্যাশা করি। আমি নিজেও ছোটবেলা থেকে আবাহনীর সমর্থক। আবাহনী-মোহামেডান খেলা মানেই উত্তেজনা। তবে আজ মাঠের মধ্যে যা দেখেছি, তা হতাশাজনক। এখানে যারা খেলছে, সবাই পেশাদার ক্রিকেটার, অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আমরা এমন উদাহরণ দেখাতে চাই না।
আরও পড়ুন: ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন সাকিব
এদিকে এত বিতর্কের পরও আজকের ম্যাচে জয় পেয়েছেন সাকিবরা। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে বৃষ্টির আগে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে কিছুতা স্বস্তিতেই ছিলো আবাহনী। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচের হিসেব বদলে দেয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি! আবাহনীর সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৭৬ রান। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন মুশফিকরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৪৫ রান। সাকিবের ব্যাট থেকেই আসে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান। ২২ বলে ৩০ করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল হাসান। ২৪ রান দিয়ে আবাহনীকে ৩ উইকেট এনে দেন কে এস স্বাধীন, আর ১৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন তানজীম হাসান সাকিব।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৯ রানে তিন উইকেট হারায় আবাহনী। সেখান থেকে মুশফিক-শান্তর জুটি প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালান। ৫.৫ ওভারে বৃষ্টি শুরুর সময় আবাহনীর রান ছিলো ৩ উইকেটে ৩১। বৃষ্টি থামলে আবাহনীর লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৯ ওভারে ৭৬। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান করে আবাহনী।
একাত্তর/আরবিএস