গবেষণা কাজে মহাকাশে টানা ৩০ বছর ধরে সচল রয়েছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। এ সময়ের মধ্যে অসংখ্য তথ্য সংগ্রহের পাশপাশি মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুর কয়েক লাখ ছবি তুলেছে টেলিস্কোপটি। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার হাবলের তোলা 'ওয়ার্লপুল গ্যালাক্সি' -এর নতুন একটি ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দৃশ্যগুলোর একটি। যা মহাকাশ নিয়ে উৎসাহীদের চোখকে প্রশান্তি দিয়েছে। রহস্যময় ওয়ার্লপুল গ্যালাক্সিকে 'এম ফিফটি ওয়ান' নামে ডাকা হয়। পৃথিবী থেকে প্রায় তিন কোটি আলোকবর্ষ দূরে ক্যান্স ভেনাটিসি নক্ষত্রমণ্ডলে এ গ্যালাক্সির অবস্থান।
গ্যালাক্সিটির ছবি সম্বলিত এক টুইট বার্তায় নাসা জানায়, গোল-গোলাকারভাবে আমরা চলে যাই...ওয়ার্লপুল গ্যালাক্সি'র বাঁকানো বাহু, গোলাপী তারার অঞ্চল এবং তারকা ক্লাস্টারের এ উজ্জ্বল নীল আলোয় নিজেকে ভাসিয়ে দিন।
নাসা আরও জানিয়েছে, এই স্পাইরাল (পেঁচানো) গ্যালাক্সির ছবিটি হাবলের উন্নত ক্যামেরা দিয়ে দৃশ্যমান আলোতে তোলা হয়েছে। এরইমধ্যে ছবি সম্বলিত এই টুইট বার্তাতে মেতেছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, যদি একটি এ.আই. (রোবট) এই চিত্রগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারতো এবং এটিকে সংগীতে পরিণত করতে পারতো, তাহলে আমি অবশ্যই এই ছবিটিকে সংগীতের মাধ্যমে শুনতে চাইতাম।
আরও পড়ুন: ডনবাসহ ইউক্রেনের দক্ষিণেও হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া
আরেক ব্যক্তি রি-টুইট লিখেছেন, এটিকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে, এটি দুর্দান্ত। আমি চোখ সরাতে পারছি না। এটি রহস্যময়!
এক বিজ্ঞপ্তিতে নাসা জানায়, সর্পিল গ্যালাক্সি 'এম ফিফটি ওয়ান' -এর মনোমুগ্ধকর ও ঘূর্ণায়মান বাহুগুলো আসলে নক্ষত্রের দীর্ঘ যাত্রাপথ এবং ধূলিকণাযুক্ত গ্যাস। নিজের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ধীরে ধীরে এমন আকার ধারণ করেছে গ্যালাক্সিটি।
একাত্তর/আরবিএস