রাজধানীর নদ্দা সরকার বাড়ি এলাকায় চোর সন্দেহে শাকিল (২৬) নামে এক যুবককে নির্মাণাধীন ভবনে বেধে মারধরের পর ওপর থেকে ফেলে দেয়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শাকিল পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
শাকিলের ছোট ভাই হৃদয় মিয়া বলেন, তার ভাই পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি নদ্দায় একটি নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনে কাজ করতেন। সেখানে কেউ পুরানো বৈদ্যুতিক তার বা সরঞ্জাম লুকিয়ে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছি। সেই সন্দেহে গত ২৫ এপ্রিল আমার ভাইকে ওই ভবনের মালিকপক্ষের লোকজন মেরে হাত বেঁধে উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মারাকপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে শাকিল।
শাকিলকে আহত অবস্থায় বৃহম্পতিবার দিনগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা দরকার হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ১১ টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার ভাই। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে রোববার ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমান বলেন, শাকিল আহত অবস্থায় থাকার সময় থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা হয়। যেহেতু তিনি মারা গেছেন এখন হত্যা মামলা হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এক নম্বর আসামি ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহত শাকিলের ছোট ভাই হৃদয় জানান, শাকিল নদ্দার সরকার বাড়ী এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছিল দ্বিতীয়। শাকিলের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানান ছোট ভাই হৃদয় মিয়া।