পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী প্রভাতি অনুষ্ঠানে এবার সমগ্র বাঙালিকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। ছায়ানটের এবারের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এদেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাইনা, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসাথে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালোবেসে চলবার মন্ত্র।
অনুষ্ঠানসূচি নিয়ে বলা হয়, ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দবরণের সূচনা। ছায়ানটের এবারের বার্তা, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়। যথারীতি অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি এবং মানুষকে ভালোবাসার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান।
রমনা উদ্যান থেকে দুঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল (youtube.com/@chhayanautbd) ও ফেইসবুক পেইজে (facebook.com/chhayanautbd)। বিটিভিও সরাসরি সম্প্রচার করবে অনুষ্ঠান। এবারের অনুষ্ঠানসজ্জায় ৯টি সম্মেলক ও ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানায় ছায়ানট। সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরলস শ্রম দিয়ে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা, থার্টিনথ হুসার্স ওপেন রোভার গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যরা। মঞ্চসহ সার্বিক সাজসজ্জার পরিকল্পনা করেছেন ছায়ানটের প্রাক্তনী সুজন চৌধুরী।