ঢাকার ধামরাইয়ে দুই মাস আগে বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় জামিনে মুক্ত আসামিরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে এই অগ্নিসংযোগ অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, অগ্নিসংযোগের মামলা না নিয়ে পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করতে বলেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ধর্ষিতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন। এর আগে গতকাল রাতে ধর্ষিতার দরিদ্র বাবা কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ধামরাই উপজেলার গাঙগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া এলাকার ধর্ষণ মামলার আসামি সুমন হোসেন, তার তিন ভাই শামীম হোসেন, আমজাদ হোসেন ও সেলিম হোসেন এবং তাদের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
অভিযোগে ধর্ষিতার বাবা বলেন, দুই মাস আগে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার সুমন হোসেন। ঘটনার দুই দিন পর ৮ আগস্ট আমার মেয়ে বাদী হয়ে সুমন ও তার তিন ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ৩১ আগস্ট জামিনে মুক্ত হয়ে অভিযুক্ত সুমনের ভাই শামীম ও সেলিম হোসেন মামলা তুলে নিতে তাদের চাপ দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: চায়ের রাজধানীতে চলছে উপনির্বাচন
এসময় মামলা তুলে না নিলে হত্যারও হুমকি দেয় তারা। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আমি ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর থেকে আসামিরা আমাদের ক্ষতি করতে ওঁৎ পেতে থাকে। সবশেষ গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে আসামিদের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আমার বাড়িতে প্রবেশ করে কেঁচিগেটে বাইরে থেকে তালা দেয়। পরে পাশের দুই চালা টিনের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে ওই ঘরে থাকা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এসময় আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে ও আমাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীর এক স্বজন বলেন, আমার মামাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করতেই পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল। রাতে মামা ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ করছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, রাতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর মেয়েকে ধর্ষণের আসামি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে বিষয়টি তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
একাত্তর/আরএইচ