বগুড়ার শিবগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে পাত্র দেখানোর কথা বলে অপহরণ করে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করেছে ঘটক শাহিনুর রহমান।
পরে থানা পুলিশ অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার এবং ঘটককে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত একটার দিকে ঘটককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ঘটক শাহিনুর রহমান (৪৩) শিবগঞ্জ থানার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে।
জানা গেছে, শাহীনুর ঘটকালি করে জীবিকা নির্বাহ করে। একই উপজেলার মোকামতলা মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রীর বাবার সাথে ঘটক শাহিনুরের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ঘটক শাহিনুর নিয়ে যায়।
গত ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শুরু করে।
এক পর্যায় ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের মনে সন্দেহ হয়। ঘটককে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না।
আরও পড়ুন: স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন স্ত্রী
আরও জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ঘটক এবং ওই ছাত্রীর সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে শিবগঞ্জ থানার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘটক তার মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
রোববার রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটক শাহিনুর ভাল ছেলের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইতোপূর্বে আরো তিন জনকে বিয়ে করে। কিন্তু পরে কেউ তার সংসার করেনি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অপহরণের শিকার কলেজ ছাত্রীকে ঘটক শাহিনুরের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শাহিনুরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
একাত্তর/টিএ