বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠা এগ্রো আর্টস কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে বায়ুদূষণসহ চলাচলে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ব্র্যাক বটতলা ভবানীপুরের রাস্তায় আম্বইল বেলতলা নামক স্থানে রাস্তার দুই পাশেই কয়েকশ' টন পঁচা আলু ফেলেছে এগ্রো আর্টস কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ।
কোল্ড স্টোরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা সহ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই বিপুল পরিমাণ আলু পচে গিয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। আর সেসব পঁচা আলু রাস্তার দুই পাশে ফেলার ফলে বায়ুদূষণসহ নানা রকমের বিড়ম্বনার শিকার ইজিবাইক, ভ্যান, ভটভটি চালক ও যাত্রীসহ সাধারণ পথচারীরা।
ইজিবাইক ভ্যান ভটভটি চালক যাত্রী এবং এলাকাবাসী জানান, ভবানীপুর, বিশালপুর, মির্জাপুর, শাহবন্দেগী ইউনিয়নসহ শেরপুর এবং অন্য এলাকা থেকে আগত লোকজন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করেন।
এগ্রো আর্টস কোল্ড স্টোরেজ এর পঁচা আলু নির্ধারিত জায়গায় মাটিচাপা না দিয়ে সরকারি রাস্তার দুইপাশে ফেলার কারণে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে পায়ে হাঁটা সাধারণ পথচারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন উক্ত স্থানের কাছাকাছি এলেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: টিকটকারদের হামলায় চোখ হারাতে বসেছেন গৃহিণী
এ ব্যাপারে আলুর ব্যবসায়ী ধুনট এলাকার সোহরাব হাজির সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে এগ্রো আর্টস কোল্ড স্টোরেজ এর ম্যানেজার এম এ রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ধুনট এলাকার সোহরাব হাজী নামে এক ব্যক্তি তাদের স্টোরেজ এ আলু সংরক্ষণ করেছিল, তাকে অনেক বলার পরেও আলুগুলো না নিলে আমরা আলুগুলো ফেলে দিয়েছি।
তবে এমন কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, আলুগুলো ফেলার সময় যে তীব্র দুর্গন্ধ ছিল এখন ততটা নেই, পর্যায়ক্রমে দুর্গন্ধ কমে যাচ্ছে। তবে এই পঁচা আলু দিয়ে যে জৈবসার তৈরি হবে তা খুবই শক্তিশালী জৈবসার হবে।
এ বিষয়ে বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সুফিয়া নাজিম বলেন, যে কোনো কোল্ড স্টোরেজের পঁচা আলু এভাবে যত্রতত্র ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনটা হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে।
একাত্তর/এসজে