অবশেষে বন্যহাতি রক্ষায় টনক নড়লো প্রশাসনের। হাতির অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে শেরপুরের গারো পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে হাতির অভয়ারণ্য। আর এতে খুশি পাহাড়ের মানুষ।
বনবিভাগ জানায় এরই মধ্যে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে তারা। এছাড়া কমতে থাকা বনভূমি উদ্ধারেও কাজ শুরু হয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর বিশাল গারো পাহাড়ে এক সময় ঘুরে বেড়াতো বুনো হাতির পাল।
কিন্তু পাহাড়ে মানুষের বসতি দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ছোট হয়ে যায় হাতির চলাচল, কমে যায় খাবারের উৎস।
আর এ কারনে খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে নামে হাতির পাল। আর এতেই শুরু হয় হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব। মূলত এই দ্বন্দ্বেই গত তিন মাসে গারো পাহাড়ে চারটি হাতি মারা যায়।
এমনকি গত সপ্তাহেও পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমবারের মতো হাতি হত্যায় হয় মামলাও। যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন চারজন।
কিন্তু এখন হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়ে বন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে অভয়ারণ্য।
শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, দ্রুত কমতে থাকা বনভূমি উদ্ধার ও হাতির অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারা।
আর জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশীদ জানিয়েছেন, অভয়ারণ্যের প্রস্তাবটি পাস হয়ে বন মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বন বিভাগে রয়েছে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণে জেলায় প্রায় ৯০ জন মানুষ মারা গেছে, আর আহত হয়েছে শতাধিক। বিপরীতে নানা কারণে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে।
একাত্তর/টিএ