নীলফামারীতে মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হলেও আরেকটি পালিয়ে গেছে- এলাকাবাসীর এমন দাবিতে বসে থাকেনি বনবিভাগ। কিন্তু গত দুই দিনেও তিন বাহিনী মিলে বাঘটির অস্তিত্ব তন্যতন্য করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। পরে অভিযান স্থগিত করেছে বনবিভাগ।
রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চিতা বাঘ উদ্ধার অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে যৌথ অভিযান দলের নেতৃত্বদানকারী ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পালিয়ে যাওয়া চিতা বাঘটি ধরতে তিন বাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে ছিল সামাজিক বন বিভাগ রংপুর, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকা এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর তিনটি দল।
গত দু’দিন ধরে কাঞ্চনপাড়া, দলবাড়ি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে অভিযান চালিয়ে চিতা বাঘের উপস্থিতি না মেলায় উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গ্রামটিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে, গ্রামবাসীর এমন দাবিতে রথীন্দ্র নাথ বলেন, যে পায়ের ছাপ মিলেছে তা চিতা বাঘের নয়। ওই পায়ের ছাপ কুকুর ও শেয়ালের। তাই এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এর পরেও যদি কোথাও চিতা বাঘের দেখা পাওয়া যায় সেটিকে উদ্ধারে আবারও অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন: কমলো সব ধরনের সয়াবিন তেলের দাম
সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক বন বিভাগ রংপুরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায়, রাজশাহীর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, নীলফামারী জেলা সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোলায়েমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোর রাত ৫টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার চরাবোগাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া দলবারই গ্রামে একটি মুরগির খামারে পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়। এসময় স্থানীয়রা আরও একটি চিতা বাঘকে খামার সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে ওই চিতা বাঘটিকে নিরাপদে উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হয়।
একাত্তর/এসি