১৫ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
লঞ্চের ভেতর পাওয়া যায়নি কোন মরদেহ। লঞ্চডুবির এ ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে নারী ও শিশুসহ ছয়জনের লাশ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করা হয় সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে। মাঝনদী থেকে লঞ্চটিকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়।
ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে পায়নি কোন মরদেহ।
এ ঘটনায় আরো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। নদীর তলদেশে ও কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশী চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
এদিকে এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে নদীর পারে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। লঞ্চ উদ্ধার হলেও তাদের স্বজনদের লাশ উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, রাত ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে আসে। পরে রাতভর চেষ্টায় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে লঞ্চটি আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পারে আনা হয়।
এরপর উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো তল্লাশি চালায়, তবে লঞ্চের নীচে ও উপরে কোন মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, তাদের কাছে নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন মুন্সিগঞ্জের হাতেম আলী, আরোহী, আব্দুল্লাহ আল জাবের, জোবায়ের হোসেন ও সোনারগাঁওয়ের উম্মে খায়রুন ফাতেমা।
আরও পড়ুন: মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যা, অভিযুক্ত পলাতক
যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত ছয়জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ পুলিশ। যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলাম পুরের ব্যবসায়ী জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫), মুন্সিগঞ্জের সদরের আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফাতেমা (৭) ও মুন্সিগঞ্জ সদরের স্মৃতি (২০)।
একাত্তর/এসজে