দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি নিম্নআয়ের মানুষ। তবে আরেকটু কমদাম আর পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলছেন সবাই।
এদিকে জনপ্রতিনিধিরা জানান, চাহিদা বেশি থাকলেও কার্ডের সংখ্যা কম বলে সবাই স্বল্পমূল্যের পণ্য পাচ্ছেন না।
টিসিবির লাইনে পণ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন গাজীপুরের পশ্চিম জয়দেবপুর এলাকার আনোয়ারা বেগম।
তিনি বলেন, ছয় নাতনী আর দুই ছেলের বউ নিয়ে তার বড় সংসারে অভাব। তাই পণ্যের পরিমাণ আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বড় সংসারে আছেন দারুন অভাব-অনটনে। লাইনে দাঁড়িয়ে যেটুকু পণ্য পেয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তিনি। একইভাবে অন্যরাও চাইছেন কম দামে আরও বেশি পণ্য।
জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, চাহিদা অনুপাতে কার্ডের সংখ্যা ও পণ্য কম।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হান্নান মিয়া বলেন, এলাকার ভোটার অনুপাতে সংখ্যা সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্ধারণ করে দেওয়ায় চাহিদা থাকলেও তারা বেশি সংখ্যক মানুষকে দিতে পারছেন না।
টিসিবির পণ্য কিনছেন খুলনার খালিশপুরের অটোরিক্সাচালক মোখলেসুর রহমানও। তিনি বলেন, সংসারে ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি। তাই নিত্যপণ্যের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। টিসিবির স্বল্পমূল্যের পণ্য পেয়ে কিছুটা সাশ্রয় হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চট্টগ্রামে পণ্যের জন্য টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অনেকক্ষণ। তারপরও কমমূল্যে পণ্য পেয়ে খুশি চট্টগ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষ। তবে তারাও বলেন আরেকটু বেশি পরিমাণের কথা।
এদিকে, রাজশাহীতে একটু ভিন্ন চিত্র। দিন যত গড়াচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ততই দেখা দিচ্ছে নানান অনিয়ম।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ির দেখা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ অপেক্ষায় থাকা মানুষ।
আর বুধবার রংপুরে টিসিবির পণ্য পেয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার ।
একাত্তর/জো