কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও এক হাজার ৯৯৭ জন রোহিঙ্গা। ১৩তম দফায় স্থানান্তরের পর এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৫৮১ জনে।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ যোগে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছান।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ জনরোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৭১, ৭২, ৮৪ ও ৮৫ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ শরণার্থীশিবির থেকে স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে ৩৯টি বাসে করে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ৫৫২ জন, নবম দফায় ৭০৫ জন, দশম দফায় ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় ২৯৮২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) আরও দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেওয়া হবে।
একাত্তর/আরবিএস