৭১ টিভিতে প্রতিবেদন প্রচারের পর অবশেষে উচ্ছেদ হলো কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের সীমা বৌদ্ধ বিহারের অবৈধ স্থাপনা।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে উপজেলা প্রশাসন মন্দিরের জমি দখল করে নির্মিত আটটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। উদ্ধার করে বৌদ্ধ বিহারের ২৮ শতাংশ জমি।
১১১ বছরের পুরনো মিশ্রিপাড়া রাখাইন সীমা বৌদ্ধ বিহারের অভ্যন্তরের প্রবেশ পথের জমি দখল করে একটি প্রভাবশালী চক্র আটটি বিশাল টিনসেড স্থাপনা নির্মাণ করে। এতে নষ্ট হয় ইন্দো-চীনের স্থাপত্য আদলে নির্মিত মন্দিরের সৌন্দর্য।
এশিয়ার সবচেয়ে বেশি উচ্চতার গৌতম বুদ্ধের ধ্যানমগ্ন মূর্তি রয়েছে এ মন্দিরে। রয়েছে রেঙ্গুন থেকে আনা শত বছরের পুরনো কাসার ঘণ্টা। কয়েকশ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাখাইন শিক্ষা ও সংস্কৃতিরও দেখা মেলে এ মন্দিরে।
কিন্তু ওই দখলের ফলে ম্লান হয়ে পড়ে মন্দিরটির সকল সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য। এ ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করে জমি দখলমুক্তের দাবি জানান।
এ নিয়ে এ বছরের ১৭ জানুয়ারি ৭১ টিভিতে ‘কুয়াকাটায় বৌদ্ধ মন্দিরের জমি দখল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচার হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দখলের সত্যতা পান। এরই ধারাবাহিকতায় এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া ভ্রমমাণ আদালতের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মন্দিরের জায়গায় নির্মিত আটটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং মন্দিরের ২৮ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৮৭৯ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ
মন্দিরের পুরোহিত রাখাইন উত্তম মাহাথেরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ অবৈধ স্থাপনার কারণে মন্দির পরিদর্শনে আসা পর্যটকরা নানা হয়রানি শিকার হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দাখিলের পরও দখলদাররা বহাল তবিয়তেই থাকে। পরবর্তীতে ৭১ টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর অবশেষে দখলমুক্ত হলো মন্দিরের সামনের সকল স্থাপনা।
প্রশাসনের এ উচ্ছেদ অভিযানে কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ খুশি বলেও জানান পুরোহিত।
একাত্তর/জো