রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ছাগল চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে পুলিশে আত্মসমর্পণ করেন আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামী।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটের অস্থায়ী হাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আটককৃত মিজান বেপারী (২৭) গোয়ালন্দ উপজেলার পূর্ব উজানচর গফুর মণ্ডল পাড়ার গোলাপ বেপারির ছেলে। তিনি একজন চিহ্নিত চোর। গোয়ালন্দ ঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ছাগলটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটের অস্থায়ী হাটে নিয়ে গেলে লোকজনের বিভিন্ন প্রশ্নে এলোমেলো কথা বলেন মিজান। এতে সন্দেহ হলে তারা তাকে ধাওয়া দিলে ছাগল ফেলে পাশেই অবস্থিত দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। এসময় তিনি স্কুলের শিক্ষকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে এবং জনতার হাত থেকে বাঁচিয়ে তাকে পুলিশে দিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান মিজান।
ক্যানাল ঘাটের ইজারাদার খলিল শেখ বলেন, ছাগলটির দাম অন্তত ৬-৭ হাজার টাকা। কিন্তু মিজান দাম চায় মাত্র ৪ হাজার টাকা। যেন কোনমতে বিক্রি করে যেতে পারলেই রক্ষা। এতে আমাদের সন্দেহ হলে কিছু প্রশ্ন করা হয়। এক পর্যায়ে দৌড়ে পালান তিনি।
দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাগল চোরের দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী আমরা ছাগলের মালিকের খোঁজ করে তাকে খবর দেই। সেই সাথে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাগলটিকে তার মালিকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলে যাই। এ সময় ছাগলের মালিক আফজাল মোল্লা ছাগল চুরির বিষয়ে কোন মামলা করতে রাজী নন বললে ছাগলটি তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া চোর মিজান বেপারীর নামে থানার একটি জিআর মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একাত্তর/জো