ইভিএমে ভোট নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন পটুয়াখালীর বাউফলের আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেল। এবার সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত টিমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় বাউফল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির সামনে দেয়া মৌখিক বক্তব্যে তিনি ক্ষমা চান। তবে তার দাবি, তিনি ওই বৈঠকে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।
নিজের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেয়ার সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও নাজিরপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং তা চলে দুপুর একটা পর্যন্ত। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা ওই আওয়ামী লীগ নেতার লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেন।
এসময় বরিশালের সহকারী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহনুর খান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামসহ নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মহাসিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্তের জন্য নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নে যান। দুপুর দুইটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তিনি স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য নেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ও বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের এই তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: আরও একজনের মৃত্যু
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা মার্কার প্রার্থীর ও আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেল একটি সভায় ইভিএম নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিপাকে ফেলে দেন।
তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। এরপর গত ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করেন।
একাত্তর/এসজে