নাটোরে মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা ও লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে নাটোরের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএফএম গোলজার রহমান নুরুজ্জামান কালুর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হযরতপুর গোলাম ইয়াসিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর বরকতকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
ওইদিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। মামলার পরপরই নাটোর শহর থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসায় এসে চেয়ারম্যান এবং তার সমর্থকরা শিক্ষকদের গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিষ্ঠানে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর বরকতকে মারধর করে চেয়ারম্যান এবং তার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: নীলা মার্কেটের নীলাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি
পরে জাফর বরকতকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় লক্ষ্মীপুর-খোলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসক গিয়ে ওই শিক্ষককে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাটোরের কোর্ট পরিদর্শক নজমুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুর আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একাত্তর/এসজে