প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা। লাগাতার আন্দোলন ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ১২০ টাকা মজুরিতে সোমবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের আশা, শিগগির প্রধানমন্ত্রী তাদের নতুন মজুরি ঘোষণা করবেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হবিগঞ্জে চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি বলে জানা গেছে। দাবি আদায়ে তারা কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, রোববার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে শুরু করে দিবাগত রাত রাত তিনটা পর্যন্ত চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া ও বিভাগীয় শ্রম পরিচালক নাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
টানা প্রায় ছয় ঘণ্টা চলা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে একটি লিখিত যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্তা রেখে শ্রমিকরা তাদের নির্ধারিত চলমান ১২০ টাকা মজুরিতেই আজ থেকে কাজে যোগ দেবেন। শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আবেদন করেছেন। তারা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপুজার আগে ভিডিও কনফারেন্স করে চা শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে সেটি ঘোষণা করবেন। তাছাড়া যে কয়েক দিন কর্মবিরতি চলেছে সেই সময়ের মজুরি বাগান মালিকরা শ্রমিকদের দেবেন। অন্য দাবিগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ লিখিতভাবে দেবেন।
যৌথ বিবৃতিতে শ্রমিক নেতাদের পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেন পাল, সহ সভাপতি পংকজ কন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালেন্দীসহ আট শ্রমিক নেতা।
উল্লেখ্য গত ৯ আগস্ট থেকে মৌলভীবাজার জেলাসহ দেশের সকল চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। কিন্তু মালিক পক্ষ তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে নামেন চা শ্রমিকরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বাগানের পাতা উত্তোলনসহ ফ্যাক্টরির চা উৎপাদন। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বাগানের ভেতরে মানববন্ধন, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
একাত্তর/এসি