সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনায় ইলিশ ধরার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাছেদ আলীকে (২০) কারাগারে নেওয়ার পথে তিনি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বাছেদ আলীসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২২ আসামিকে নৌকায় করে চৌহালী থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে নেওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পলাতক বাছেদ আলী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আটাপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনার রশিদ জানান, মঙ্গলবার রাতভর উপজেলার যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আফসানা ইয়াসমিন। এ সময় ২২ জন জেলেকে জাল ও মাছসহ আটক করা হয়। বুধবার সকালে বাছেদ আলীসহ ওই ২২ জন জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওসি আরও জানান, এরপর সাজাপ্রাপ্ত জেলেদের নৌকায় করে কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কুকুরিয়া এলাকায় পৌঁছলে সাজাপ্রাপ্ত বাছেদ আলী নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান। তখন নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও তাকে ধরতে ধাওয়া করে। এখন পর্যন্ত তাকে ধরা সম্ভব হয়নি তবে তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রামগতির মেঘনায় ইলিশ ধরার সময় আট জেলে আটক
যদি পালিয়ে যাওয়া আসামি বাছেদ আলীকে ধরা না যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
একাত্তর/জো