ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এর মধ্যে নজর কাড়ছেন তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা মীর। জনসংযোগে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। পাচ্ছেন ব্যাপক সমর্থন। তবে এই প্রার্থীর অভিযোগ, প্রচারে নেমে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাধা পাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম বর্ষা মীরের। আলিজান মীর ও আছিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের ছোট তিনি। পড়েছেন ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত। সবার চেয়ে ভিন্ন হওয়ায় পেরিয়েছেন নানা প্রতিকূলতা। তারপরেও অসহায় মানুষের সাথেই থেকেছেন, সবসময় সমাজসেবায় জড়িয়ে রেখেছেন নিজেকে।
আর এই সমাজসেবাকেই ব্রত হিসেবে নিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের এই প্রার্থী।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্ষা মীর বলেন, একজন চেয়ারম্যানের কাছে জনগত যতটুকু হকদার, সে হক যাতে জনগণ পায়, সে চেষ্টা নিয়েই প্রতিদ্বন্দিতা করছি।
তবে বর্ষার অভিযোগ, তার এই ছুটে চলাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না কেউ কেউ। প্রচারে নামার পর থেকে প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পড়ছেন। অবশ্য তাকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার অনেক ভোটার।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনো প্রার্থীর প্রচারে কেউ বাধা দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেচুর রহমান বলেন, যদি অভিযোগ আসে অবশ্যই আমি সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চারজন এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিচ্ছেন ছয়জন প্রার্থী। আর তাদের ভোট দেবেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪জন ভোটার।