জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল। এর মধ্যে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন।
আদালত ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টকের ব্যবসা করতেন।
২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কাঁকড়া ব্রিজের কাছে ব্যবসার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে আসামিরা আলী হাসান বাবুকে গলায় পাটের রশি পেঁচিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. বদরুল ইসলাম হোদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।