পদ্মা, যমুনা ও ধরলাসহ বেশ কিছু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ৯টি পয়েন্টে ছয় নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপরে।
নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানি বাড়ায় ১৫ গ্রামের মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে যাচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্র বা বাঁধের ওপর।
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় প্রতিদিন নতুন করে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট।
পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার এবং ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ২০টি গ্রাম ।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা বরাবর বয়ে যাচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি শহরের ব্রিজ রোড পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে দৌলতদিয়া পয়েন্টে দুই সেন্টিমিটার কমলেও এখনো পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একাত্তর/এআর