ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে ডিজিএফআই পরিচয় দিয়ে স্থানীয় সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে যৌথবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার অপহরণকারী দলের প্রধানসহ ৯ জনকে কসবা থেকে আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৭ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল ডিজিএফআই হেডকোয়ার্টারের ভুয়া ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পরিচয়ে ঢাকা মেট্রো-চ ৫২-০১৭৯ গাড়িতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মালু মিয়ার ছেলে রিফাতকে অপহরণ করে।
ডিজিএফআই পরিচয়ে দেয়া অপহরণকারী দলটি আসার আগে মোবাইলে নবীনগর থানা পুলিশকে জানালে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়।
অপহরণকারীরা ভুয়া ডিজিএফআইয়ের আইডি কার্ড দেখালেও নবীনগর থানার পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে প্রকৃত ডিজিএফআই কর্মকর্তা ভেবে তাদের সঙ্গে যায়।
অপহরণের পর দলটি রিফাতের পরিবারের কাছে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে কসবা থানা পুলিশ যৌথ অপারেশনের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকেলে অপহৃত রিফাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার করে। একইদিন অপহরণকারী দলের প্রধানসহ ৯ জনকে কসবা থেকে আটক করে।