ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে কাচপুর সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর চাপের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারছেন।
সোমবার সরেজমিন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পরিবহনগুলো বিরতিহীন চলাচলের কারণে কোনো ভোগান্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়াসে মেঘনা সেতু পার হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগের কারণে এবার স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষ।
এদিন সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও কোনো পরিবহনের ধীরগতি বা চাপ দেখা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে। এছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেক কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে এবার মহাসড়কে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই।
কুমিল্লাগামী স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, কাচঁপুর থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট পাইনি। চিরচেনা মহাসড়ক এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তি দিয়েছে।
চট্টগ্রামগামী সোহাগ পরিবহনের চালক আব্দুল মালেক জানান, ঈদের আগের এই সময় মহাসড়কে যানজট থাকতো। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন আর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবার যানজটমুক্ত। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক জানান, স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চলছে। যেসব পয়েন্টে যানজটের শঙ্কা আছে, সেখানে বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত আছে।