খুলনার সাগর ঘেঁষা উপজেলা বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা এবং কয়রায় দূর হচ্ছে সুপেয় পানির সঙ্কট। পুকুরের পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করা হচ্ছে সুপেয় পানি। এছাড়াও সুপেয় পানি সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।
সাগরের নোনাজলের বিশাল এই স্রোতধারার মাঝখানে যে বসতির তার নাম দাকোপ। চারিদিকে অথৈ নোনাজলের মাঝে, খাবার পানির সঙ্কট যেখানে যুগের পর যুগ ধরে।
তবে গেলো একযুগ ধরে একটু একটু করে এখানকার পরিস্থিতি বদলেছে। খাবার পানির অভাব দূর হয়েছে মানুষের।
গ্রামবাসী মালতি মন্ডল বলেন, এখানে এখন কার্ড সিস্টেমের জল আছে। এই নিরাপদ এই জল আট আনা লিটার।
পানির জন্য হাহাকার রয়েছে বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলাতেও। সেখানেও সুপেয় পানির সঙ্কট দূর হচ্ছে আধুনিক নানা উদ্যোগে।
বানিশান্তার ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায় বলেন, যদি সুপেয় পানির ক্রাইসিস মেটানো না যায়, তাহলে ব্যাপক হারে রেইন ওয়াটার এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে সুপেয় পানির জন্য। পানির অভাব দূর করতে ১২ বছরে এই উপজেলাগুলোতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। তবে সুপেয় পানির এই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়।
এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগের পর এই উপকূলে খাবার পানির সঙ্কট মোকাবেলায় নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা বেশিদিন টেকেনি। তবে এবার আগের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সরকার পরিচালনা বিভাগের পরিচালক ইউসুফ মাসুদ বলেন, টেকসই না হওয়ার যে কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো ওনারশিপ গ্রো না করা। দ্বিতীয়ত, যেটা সত্য সেটা হলো যে, সামান্যতম যে মেইন্টেনেস কস্ট থাকে সে বিষয়টা সবসময় অ্যাড্রেস করা হয়না।
খুলনার চারটি উপজেলার অন্তত আট লাখ মানুষের খাবার পানির তীব্র সঙ্কট রয়েছে। কিন্তু নানা উদ্যোগ নিয়ে চাহিদা মিটছে মাত্র এক লাখ মানুষের।