প্রচণ্ড দাবহাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। চলতি মৌসুমের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইতে থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। অত্যধিক গরম অনুভূত হওয়ায় নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মঙ্গলবার বিকেলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ।
তিনি জানান, এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চ, এপ্রিলে গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তাপমাত্রার হিসাবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। ৬ এপ্রিল ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। এরপর থেকে ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। যা মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে গড়ায়।
৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। এতে শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে।