আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যশোরের বেনাপোলে দুই দেশের শূণ্য রেখায় এবার বসেনি এপার-ওপার বাংলার মিলন মেলা।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, দেশে ফ্যাসিস সরকারের পতনের পরে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।
২০০২ সালে ভারতের বনগাঁর কয়েকজন সাংস্কৃতিকর্মী ‘একুশে উদযাপন কমিটি’ সীমান্তের শূণ্য রেখায় এক সঙ্গে মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে খুলে যায় সীমান্তের ফটক, বসে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা।
বুকে কালো ব্যাজ, মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’ নানা রং এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড, ফুলে-ফুলে ভরে ওঠে নো-ম্যান্সল্যান্ড। তখন দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে আবেগাপ্লুত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একে অপরকে আলিঙ্গন করে সকল ভেদাভেদ ভুলে যান কিছু সময়ের জন্য। ফুলের মালা দিয়ে উভয় দেশের আবেগপ্রবণ অনেক মানুষ বাঙালির নাড়ির টানে একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু এবার আর সেই চিত্র দেখা যাবে না।