জামালপুরে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপস্থিতিতে মন্দির নিয়ে সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেছে পূজা উদযাপন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবার এবং জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্মরকলিপি দিয়েছে সংগঠনের নেতারা।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
তাদের অভিযোগ, এক মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান স্বপন জামালপুর শহরের মুসলিমাবাদ এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশে প্রার্থীর উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, জামালপুরের মন্দিরে মন্দিরে গরুর মাংস খাওয়া হয়। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানি দেন।
সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, এমন বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাসহ সম্প্রীতি নষ্টের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বিভিন্ন জায়গায় এমন কথা বলেছেন।
স্মারকলিপিতে সই করেছেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার সোম রানু, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি কৃষিবিদ লক্ষ্মী কান্ত পণ্ডিত ও সাধারণ সম্পাদক রমেন বণিক।
এমন অসত্য, কুৎসিত ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।