ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু। পৃথিবী থেকে যার দেখা মেলে নূন্যতম ৭১ বছর পর। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ছিলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দুর্লভ এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মহাকাশপ্রেমী। আর তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছিলো বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার। তরুণদের মহাকাশ জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতেই এই আয়োজন জানান, আয়োজকরা।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতিনিয়ত কত কিছুই না ঘটে চলেছে। এর মধ্যে অনেক কিছুই আমরা দেখতে পাই খালি চোখে। এই যেমন সম্প্রতি পূর্ণ সূর্য গ্রহণ দেখলো বিশ্ববাসী।
আবার অনেক ঘটনাই ঘটে যায় চোখের আড়ালে। অথবা দৃষ্টিশক্তির সীমার বাইরে। আবার কোন কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে বহু বছর পরপর। যা হয়তো এক জীবনে একবারই দেখার সুযোগ মেলে।
এই যেমন ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু। যার দেখা মিলছে পাক্কা ৭১ বছর পর। আর এই বিরল দৃশ্য দেখতেই রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে বসে এই আয়োজন।
বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে উৎসুক মানুষের ভিড়। ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ধূমকেতু দেখা যাবার কথা। তবে সেই সময় পশ্চিম আকাশে মেঘ থাকায় ধূমকেতু স্পষ্ট দেখা না গেলেও, দূরবীনে চাঁদ দেখে আপ্লুত মহাকাশপ্রেমীরা।
আর এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তরুণদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলায় মূল লক্ষ্য বলছেন আয়োজকরা।
রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, আমরা যে সৌর জগতের মধ্যে রয়েছে, এগুলো আমাদের যতোটা সম্ভব জানা উচিত।
১৮১২ সালে প্রথম ধুমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁন (শন)-লুইস পানস। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতরে চলে আসে। সে হিসেবে ২০৯৫ সালে আবারও ধূমকেতুটি দেখা যেতে পারে।