দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হবার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, যার দীর্ঘ ১৮ মাস পর প্রথমবারের মতো খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো। আজ (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে হলে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর হলে প্রবেশ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্ৰকাশ করতে দেখা যায় তাদের।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি হল ঘুরে দেখা যায়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুল, চকলেট এবং মাস্ক দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন এবং বৈধ পরিচয়পত্র ও টিকার প্রমাণ দেখিয়ে হলে প্রবেশ করছেন।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান, হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে বৃত্তাকার চিহ্ন করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা তা মেনে প্রবেশ করছেন। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র নেতারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে হলে প্রবেশ করছেন।
সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড, টিকা কার্ড দেখে তাদের আমরা বরণ করে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: তালেবানদের মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন মুফতি ইব্রাহীম
আবাসিক হল ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা
১। কক্ষের বাইরে আসলে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত ও সার্বক্ষণিক সঠিক নিয়মে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি পালনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরস্পরের কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফুট) শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪। কক্ষের মেঝেতে শোয়া যাবে না, এক বিছানায় একাধিক ব্যক্তি শোয়া যাবে না। কেবলমাত্র আবাসিক ও দ্বৈতাবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে। কোনো বহিরাগত বা বাহির থেকে আসা কাউকে কক্ষে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না।
৫। প্রয়োজন সাপেক্ষে কক্ষে এবং কক্ষের বাহিরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৬। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কক্ষ এবং কক্ষের প্রয়োজনীয় আশপাশ সবসময় নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রে হল প্রশাসন সহযোগিতা প্রদান করবে।
৭। হল ডাইনিং, ক্যান্টিন, মেস, দোকান, সেলুন, রিডিংরুম, অডিটোরিয়াম, টিভিরুম, অতিথি কক্ষ, পাঠাগার, মসজিদ ও উপাসনালয়ে ভিড় করা যাবে না। উক্ত স্থানসমূহে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বিধি অনুসরণ এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডাইনিং-এ পালাক্রমে খাবার খেতে হবে।
৮। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অতিথি কক্ষে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে। বেড়াতে ও ঘুরতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সভা-সমাবেশ, রেস্তোরাঁ, পার্টি ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।
একাত্তর/এসএ